Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Image
Title
ধান চাষ
Details

আউশ ধান

দ্রুত (আশু) ফসল উৎপন্ন হওয়ার বিচারে এই ধানের নাম করা হয়েছে আউশ। এইধান সাধারণত জন্মে বর্ষাকালের আষাঢ় মাসে। এই কারণে এর অপর নাম আষাঢ়ী ধান।তবে এই ধান বৎসরের যে কোন সময়েই চাষ করা যায়। বাংলাদেশে আউশ ধানের যেনামগুলো পাওয়া যায়, তা হল- আটলাই, কটকতারা, কুমারী, চারনক, দুলার, ধলাষাইট, ধারাইল, পটুয়াখালী, পশুর, পানবিড়া, পাষপাই, পুখী, মরিচবেটি, হরিণমুদা, হাসিকলমি, সূর্যমুখ, শনি, ষাইটা, ভইরা, শঙ্ক পটি, কালা বকরি, খাড়াজামড়ি, মুলকে আউশ, কালামানিক, ভাতুরি ইত্যাদি।

আমন ধান

সংস্কৃত হৈমন' বা হৈমন্তিক' শব্দের অপভ্রংশ। ধান বিশেষ। এর অপর নাম আগুনী ও হৈমন্তিক। আমন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি জমিতে ধানের আবাদ হয়।আমন ধান তিন প্রকার। যথা—

১.রোপা আমন : চারা প্রস্তুত করে, সেই চারা রোপণ করে এই ধানউৎপন্ন হয় বলে এর এরূপ নাম। রোপা আমন জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে বীজ তলায় বীজবোনা হয়, শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে মূল জমিতে রোপা কার হয় এবং অগ্রহায়ণ-পৌষমাসে ধান কাটা হয়।

২.বোনা আমন : এই আমন ছিটিয়ে বোনা হয়। বোনা আমন চৈত্র-বৈশাখমাসে মাঠে বীজ বপন করা হয় এবং অগ্রহায়ণ মাসে পাকা ধান কাটা হয়। একেআছড়া আমনও বলে।

৩.বাওয়া আমন : বিল অঞ্চলে এই আমন উৎপন্ন করা হয়। একে এই কারণে গভীর পানির বিলে আমনও বলা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে। এবং প্রতিটিপ্রজাতির ধানের স্থানীয় নাম রয়েছে। যেমন— ইন্দ্রশাইল, কাতিবাগদার, ক্ষীরাইজালি, গদালাকি, গাবুরা, চিংড়িখুশি, চিটবাজ, জেশোবালাম, ঝিঙ্গাশাইল, ঢেপি, তিলককাচারী, দাউদিন, দাদখানি, দুদলাকি, দুধসর, ধলা আমন, নাগরা, নাজিরশাইল, পাটনাই, বাঁশফুল, বাইশ বিশ, বাদশাভোগ, ভাসা মানিক, মালিয়াডাক্র, রাজাশাইল, রূপশাইল, লাটশাইল, হাতিশাইল ইত্যাদি।

বোরো ধান

বোরো ধান প্রধানত সেচ নির্ভর। কার্তিক মাস থেকে বীজ তলায় বীজ বপন শুরুহয়। ধান কাটা চলে বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য পর্যন্ত। উচ্চ ফলনশীল বোরো ধান প্রবর্তনেরপর থেকে ধান আবাদ তথা সমুদয় কৃষি ব্যবস্থার মস্তবড় একটা পরিবর্তন এসেছে।ফলে একদিকে যেমন আউশ ধানের আবাদ আশংকাজনকভাবে কমে এসেছে, তেমনি রবি মৌসুমেপ্রচলিত ফসল যেমন ডাল, তৈল বীজ, শাক সবজি, ফলমূল, গোলআলু, মসলা ইত্যাদিরআবাদ কমে এসেছে। তবে বসন্তকালে এই ধান জন্মে বলে একে বাসন্তিক ধান বলা হয়।এই জাতীয় ধানের নামগুলো হলো- আমন বোরো, খৈয়াবোরো, টুপা, পশুশাইল, বানাজিরা, বোরোবোরো ইত্যাদি।

ফসল সংগ্রহ

পাকা ধান

অধিকাংশ জাতের ধান পেকে গেলে হলুদ কিংবা হালকা সোনালী বর্ণ ধারণ করে। এরূপ হলুদ বর্ণে পরিণত হলে বুঝতে হবে ধান কাটার সময় হয়েছে।

ধানের প্রক্রিয়াজাতকরণ

ধান কাটার পর সাধারণ একে রোদে শুকানো হয়। রোদে শুকিয়ে এর বীজেরআর্দ্রতা কমিয়ে আনা হয় যেনো একে গোলাজাত করার পর কোনছত্রাক জাতীয় রোগ আক্রমন করতে না পারে কিংবা যেনো পঁচে না যায়। এরপর একেঢেঁকির সাহায্যে কিংবা মাড়াইকরণ যন্ত্রের সাহায্যে এর খোসা ছাড়ানো হয়। এ পদ্ধতিকে ইংরেজীতে বলা হয় হাস্কিং। এরপর একেকুলোর সাহায্যে ঝেড়ে বাছা হয়। এই প্রক্রিয়ার পরই পাওয়া যায় চাল।[৫]